All Menu/p>

খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিবগঞ্জে খরচ কম, লাভ বেশি হওয়ায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষকরা এখন সরিষা চাষ করছেন। তাদের অভিমত, ধানের তুলনায় সরিষায় লাভ বেশি। বিগত বছরগুলো থেকে চলতি মৌসুমে উপজেলায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। উপজেলার পাঁকা, দূলর্ভপুর, ছত্রাজিতপুর ও মনাকষাসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন সরিষার আবাদ চোখে পড়ার মতো। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে- উৎপাদনও বেশি হবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে। এ ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে। মধু উৎপাদনের জন্য কৃষক পর্যায়ে মৌয়ালদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে। সরিষা আবাদের অর্জন ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৬০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। সরিষার আবাদে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই আবাদ বেড়ে চলেছে। প্রতি মণ সরিষা বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা দরে। উপজেলার চাষিরা জানান, অন্য যে কোনো আবাদের চেয়ে সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম লাগে। তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সরিষার ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া অণুকুলে আছে, তাই এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জানান সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফলন বৃদ্ধি পাবে প্রায় ১ হাজার ৫’শ মেট্রিক টন। এছাড়া সরিষা আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে ৩ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপজেলার মাটি সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলার কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে স্থানীয় টরি জাতের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭ ও বারি সরিষা-১৮ জাতের আবাদ করেছেন। গঙ্গরামপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর তিনি বারি সরিষা-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। সরিষার গাছ খুব ভালো হয়েছে। গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন, এবার বাম্পার ফলন হবে। বোগলাউড়ি গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করে যা লাভ হয়, অন্য ফসলের চাইতে অনেক বেশি। এবারও ওই দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, গতবারের চেয়ে উৎপাদন বেশি হবে।, উপজেলার কৃষকরা ব্যাপকহারে সরিষার আবাদ করেছেন। সরিষা চাষিদের মাঠপর্যায়ে পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সরিষার আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৬০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। সরিষা বপনের মাত্র ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। তাই সরিষাকে কৃষকরা লাভের ফসল হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top