ভোলাহাটে পাউবো’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : জুন ১১, ২০২২ , ৫:০২ অপরাহ্ণ

মোঃ আশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে সেই বাঁধ নির্মাণকারী ঠিকাদারের শাস্তি এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত পাউবো’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভোলাহাট উপজেলা-বাসী। শনিবার (১১ জুন) বেলা ১১ টার দিকে ভোলাহাট প্রেসক্লাবের সামনে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুনীতির কারণে নির্মাণের দুই মাসের ব্যবধানে মহানন্দা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার প্রতিবাদে, ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল ও ঠিকাদারের করা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাাকিম, মহিলা ওয়ার্ড সদস্য নার্গিস খাতুন, সোহাগী খাতুন।এসময় বিভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধি, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বক্তারা বলেন ভোলাহাটে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নির্মাণের দুই মাসের ব্যবধানে মহানন্দা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে সরকারের কোটি টাকার প্রকল্প নষ্ট হয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন ঠিকাদার। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ শাহানাজ খাতুন উন্নয়নের কাজ তদারকি করার দায়িত্ব থেকে খোঁজ-খবর নিতে গেলে কাজের ব্যাপক অনিয়ম দেখে প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধেও মামলা দিতে পিছ পা হয়নি দুর্নীতিবাজরা। বক্তারা এ সময় দ্রুত ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিলসহ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।একইসাথে মহানন্দা নদীর মুন্সিগঞ্জ হতে পোল্লাডাঙ্গা ১৫ শত মিটার ডান তীর সংস্কারের দাবি জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ঠিকাদার আকবর খান সোহেল জানান, তিনি কোন দুনীতি করেননি। বরং তার কাজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন অর্থ দাবী করায় এবং সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় এসব মামলা করা হয়েছে। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেসুর রহমান জানান, কোন বাঁধের কোন ধরনের দুর্নীতিকে তার কার্যালয় সমর্থন করেনা।বরং ভোলাহাটে বাঁধ দেবে যাওয়ার পর চুক্তি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চাপ দিয়ে সংস্কার করিয়ে দেয়া হয়েছে।তিনি আরও জানান, এক বছরের মধ্যে যে কোন বাঁধে সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তলব করা হবে।

[wps_visitor_counter]