নোয়াখালীতে সামান্য বৃষ্টিতে প্রধান সড়কে হাঁটু পানি: বেড়েছে জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত : জুন ২৯, ২০২২ , ২:১৮ অপরাহ্ণ

ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তায় প্রধান সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। এতে প্রতিনিয়ত বিগ্ন ঘটছে যানবাহন চলাচলে ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, চৌরাস্তা হচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীর প্রধান সংযোগ সড়ক। এই সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষীপুর, ফেনী, দক্ষিণাঞ্চলের চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলাসহ অন্তত ১০ জেলার শত শত যানবাহন চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে হাঁটু পানি জমে যায়। যার স্থায়িত্ব থাকে দীর্ঘদিন। দিন দিন জায়গাটি ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। এই জমে থাকা পানি ও ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে জীবাণু। দুষিত হচ্ছে পরিবেশ । স্থানীয়রা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে। তাছাড়া সড়কের উপর পানি থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী ও দুর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় ও সড়ক উন্নয়ন কাজের সময় ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই চৌরাস্তা দিয়ে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা নিয়মিত চলাচল করেন। কেউ এ সমস্যাটি সমাধানে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেননা। অথচ এই আবর্জনার পাশেই বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্মৃতি স্তম্ভ, রয়েছে চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চৌরাস্তা আপন নিবাসের বাসিন্দা আবদুর রহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধান সড়কে সবার চোখের সামনের এই চিত্র কি দেখেননা আমাদের প্রশাসনের লোকজন বা কর্তাব্যক্তিরা। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বেগমগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙ্গালী বলেন, আমি বিষয়টি অনেকবার বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে কথা বলতে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্যাহর মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও রিসিভ করেননি। তবে নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্যাহ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

[wps_visitor_counter]