ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর ৮টি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের জমিতে গড়ে তোলা পাকা ঘরে এবার মাথা গুজবার ঠিকানা হয়েছে ৬৪৬ পরিবারের। এই ঘরে জীবনের গল্প পরিবর্তনের পাশাপাশি ভাসমান জীবনের লজ্জা মোচনের সুযোগ হয়েছে সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়েই আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে নোয়াখালীর এসব উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম ছিদ্দিকী রাজু, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের এস.এ শাখার তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে নোয়াখালীতে মোট ঘর বরাদ্ধ হয় ২৩৬২টি। এরমধ্যে প্রথম ধাপে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয় ৩৬৭টি ঘর। দ্বিতীয় ধাপে সদর উপজেলায় ৩১২, বেগমগঞ্জে ৬০, কোম্পানীগঞ্জে ৪২, চাটখিলে ১০, সেনবাগে ৪২, সুবর্ণচরে ১৩৮, সোনাইমুড়িতে ২৭ ও কবিরহাটে ১৫টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
সদর উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্ধ পাওয়া ৪৩৫টি ঘরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করা হয় ৩১২টি ঘর। এরমধ্যে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে ১৪টি, অশ^দিয়া ইউনিয়নের মুকিমপুরে ১৭টি, দক্ষিণ নাজিরপুরে ৮টি, এওজবালিয়ার দক্ষিণ চর শুল্লকিয়ায় ৪২টি, চর শুল্লুকিয়ায় ৬টি, পশ্চিম এওজবালিয়ায় ২৩টি, চরমটুয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে ৩৯টি, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্য নারায়ণ বহর গ্রামে ৪৬টি, আন্ডারচর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামে ৫৭টি, কালাদরাপ ইউনিয়নের রামহরিতালুক গ্রামে ১৩টি ও উত্তর চর শুল্লুকিয়া গ্রামে ৪৭টি নির্মাণাধীন ঘরে নতুন জীবনের যাত্রা শুরু করে উপকারভোগীরা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা কিনা একেবারেই দুস্থ, একেবারেই ভূমিহীন, স্বামী পরিত্যক্তা-বিধবা নারী আছেন, প্রতিবন্ধী-ছিন্নমূল ব্যক্তি যারা আছেন, তাদেরকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলোতে থাকার জন্য উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করেছি। তিনি বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টুনির যতগুলো প্রকল্প আছে, আমরা চেষ্টা করছি এই দুস্থ-অসহায় মানুষগুলোকে সেই প্রকল্পের আওতায় এনে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি যেন পাওয়া যায়। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন জমি ক্রয় করে হলেও ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যে স্বপ্ন আমাদেরকে দেখিয়ে যাচ্ছেন, আমরা সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য সারথী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।