চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জেলা নাটাবের মতবিনিময়

প্রকাশিত : আগস্ট ২৫, ২০২২ , ১০:৪২ অপরাহ্ণ

মোঃ আশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:জাতির সূর্যসন্তান জেলার বীর-মুক্তিযোদ্ধাগণকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে’ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের কাঁঠাল বাগিচাস্থ শিশু শিক্ষা নিকতন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা হয়। নাটাবের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিম উদ দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম এ মাতিন। আলোচক ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বক্ষ-ব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের প্রোগ্রাম অরগানাইজার আবুল কালাম আজাদ, নাটাবের রাজশাহী জোনের মাঠ কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সভা সঞ্চালনা করেন নাটাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য ও শিশু শিক্ষা নিকতনের অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমান। সভায় যক্ষ্মা রোগের করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন এনজিও প্রতিনিধিরা। মতবিনিময় সভায় জেলার বিভিন্ন স্থানের ৩০জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। বক্তারা, যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে জেলার বীর-মুক্তিযোদ্ধাগণের প্রতি বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সামাজিকভাবে সচেতনতার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও মতামত ব্যক্ত করেন আলোচকগণ ও নাটাব নেতৃবৃন্দ। সভায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং জেলা নাটাবের সম্পাদক ইকবাল মনোয়ার খান চান্না’র সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। আলোচকগণ ও বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা রোগ শুধু মানুষের ফুসফুসেই হয়না, হাড়েও হয়। হাড়ে যক্ষ্মা রোগ প্রায় ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ হয়। ৫০% লোকের মেরুদণ্ডে এই রোগ হয়। ফলে আক্রান্ত রোগী সামনে বা পেছনের দিকে বাঁকিয়ে যায়। আক্রান্ত হলে হাঁটুতে এবং পায়ের গোড়ালিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসা নিলে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। যক্ষ্মা রোগীকে সঠিকভাবে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এতে ডটস উল্লেখযোগ্য-ভাবে ভূমিকার রাখে। বক্তারা আরও বলেন, একটানা ৩ সপ্তাহের বেশী কাঁশি হলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। হাঁচি ও কাঁশির মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ সংক্রমণ হয় এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়া মানুষদের আক্রান্ত করে ফেলে। সাধারণত: রোগ প্রতিরোধ কমে মানুষরা এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। যক্ষ্মা রোগ দেখা দিলে নিয়মিত, পরিমিত ও ক্রমাগত এবং সঠিকভাবে ঔষধ সেবন করাতে হবে। সমাজ থেকে এই রোগ প্রতিরোধে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের সচেতনতায় পারে কঠিন রোগ যক্ষ্মা থেকে সমাজ তথা দেশকে রক্ষা করতে। মানুষের নখ ও চুল ছাড়া সব স্থানেই যক্ষ্মা রোগ হতে পারে। তাই সমস্যা হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এর আগেও জেলা নাটাবের উদ্যোগে ইমাম, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, সাংবাদিক, ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক কর্মী, এনজিও কর্মী, সুশীল সমাজ, পরিবহন শ্রমিক ও রিকশাচালকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর জন্ম হয় ১৯৪৮ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতার মাধ্যমে কাজ করে আসছে নাটাব।

[wps_visitor_counter]