গৃহবধূ হত্যার অভিযোগের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ , ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশ এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আত্মহত্যায় প্ররোচনার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে। নিহত গৃহবধূ নাসরিন আক্তার (১৯) উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের মো.জহিরের স্ত্রী। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। রবিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মা পান্না আক্তার জানান, প্রায় তিন বছর আগে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে অটোরিকশা চালক মো.জহিরের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেয়ে নাসরিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবীতে মেয়ের উপর নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী জহির। এছাড়া নিহতের শ্বশুর.শাশুড়ি,দেবর তুচ্ছ ঘটনায় নাসরিনকে মানসিক নির্যাতন ও মারধর করত। তার স্বামী অন্য এক নারীর সাথে পরকীয়া করত,ঠিক মত বাড়ি ফিরত না। মেয়ের খোঁজ খবর রাখতে দুটি মুঠোফোন আমি নাসরিনকে দিয়েছিলাম। ফোন গুলো তার স্বামী ছিনিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর তাকে মারধর করে তার শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে আমি মেয়ের স্বামীর বাড়িতে যাই। সেখানে নাসরিন আমাকে জানায় তাকে মারধর করে চিরতরে এ স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়ানোর হুমকি দেয় তার স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। নিহতের পিতা সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নিহতের স্বামীসহ তার পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

[wps_visitor_counter]