বাবা মায়ের ফেলে যাওয়া যমজ শিশুর ঠাঁই হল দাদির কোলে

প্রকাশিত : জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১১:৫৩ অপরাহ্ণ

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিবগঞ্জে ১৯ মাসের যমজ শিশু-ফিরে পেয়েছে নতুন ঠিকানা। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যমজ শিশুকে দাদি রুমালী বেগমের নিকট হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত। এ সময় বিভিন্ন উপহার সামগ্রীসহ দেয়া হয় নগদ আর্থিক সহায়তা। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩ বছর আগে উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের চক নাধড়া গ্রামের তাজরিনের সঙ্গে কানসাট বালুচর গ্রামের আবদুল আওয়ালের পারিবারিক-ভাবে বিয়ে হয়। গত চারমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে-শ্বশুর পরিবারের লোকজনদের অগোচরে যমজ শিশু ঘরে রেখে পিতার বাড়ি চলে যান মা তাজরিন বেগম। এমনকি তাজরিনের স্বামীও গেছেন আত্মগোপনে। পরে যমজ শিশু নিয়ে বিপাকে পড়েন দাদি রুমালী বেগম। বৃহস্পতিবার ১০৯৮ নম্বরে ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে রবিবার সমাজকর্মী সেনাউল ইসলাম তাদের বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন খোঁজখবর নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ে তাদের ডাকা হয়। সোমবার শিশু দুটির সার্বিক বিষয়াবলী বিবেচনা করে-সমাজসেবা কার্যালয় পরিচালিত সিএসপিবি প্রকল্পের কেস ম্যানেজমেন্টের আওতায় নিয়ে আসা হয়। পরে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে যমজ শিশু আরিশা ও আনিশাকে তাদের নিকট হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত। সঙ্গে দেয়া হয় বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ। একই সঙ্গে আরিশা ও আনিশার দেখভালের জন্য প্রতিমাসে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে যমজ শিশুটি সেবা যত্ন থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমানে কিছুটা হলেও শিশুদের সেবা নিশ্চিত হবে। পরিবারই হোক তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ও সিনিয়র সাংবাদিক আহসান হাবিব প্রমুখ।

[wps_visitor_counter]