ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পানির পাম্প ও সড়কের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ , ৯:০৮ অপরাহ্ণ

হেলালী ফেরদৌসী, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সাপ্লাই পানির পাম্প ও রোড লাইটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ফলে পৌরবাসী চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বিষয়টি প্রতিকারের জন্য পৌর মেয়র শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় পৌর অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌর মেয়র। এ সময় পৌর কাউন্সিলর বৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, আমি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। এরপর থেকে পৌরসভার বিদ্যুতের একটি টাকাও বকেয়া রাখি নাই। ২ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার ৭শত ১৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে যা বিগত মেয়রদের আমলের। আমার সময়ে প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পাশাপাশি পূর্বের অতিরিক্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করেছি ২৩ লক্ষ ৬২ হাজার দুইশত দশ টাকা। তারপরও স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পৌরসভার পানি সাপ্লাইয়ের তিনটি পানির পাম্প ও দুইটি সড়কে লাইটের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে। মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কষ্ট হলেও আমি বিগত মেয়রদের আমলের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কিছুকিছু করে পরিশোধ করে আসছিলাম। এবং প্রতিমাসে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল দেয়ার পাশাপাশি পূর্বের বকেয়া বিল এক লক্ষ টাকা করে দিয়ে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের এমডি (খুলনা) তিনি বিষয়টি মেনে নেননি। ফলে এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পৌর মেয়র বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কিন্তু এত টাকা অল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন- সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ মুহূর্তে পৌর সেবা অব্যাহত রাখতে না পারলে আমরা দলীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। যে কারণে আপনাদের মাধ্যমে (সাংবাদিকদের) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি দ্রুত সুরাহার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এ বিষয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার জাহিদ বলেন, এ বিষয়ে আমার করার কিছুই নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পৌরসভার কয়েকটি লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত বিল পরিশোধ অথবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে আবারো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।

[wps_visitor_counter]