মৌলভীবাজারে ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণের দাবি

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ৭:০২ পূর্বাহ্ণ

মশাহিদ আহমদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী লেখা বিল খনন ও ১৯৫৬ইং সনের এস এ ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণের দাবি ও সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন ৩নং কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আপ্নান আলীসহ ভুক্তভোগীরা। সূত্রে জানা গেছে, ভূমি অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুসারে পুরাতন এ বিল। বর্তমানে চরম অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন কচুরীপনা ও কলমি গাছের ফলে জঙ্গলে পরিণত হয়ে গিয়েছে। কৃষি জমিতে ধানচাষ, শস্য রোপণ, মৎস্য চাষসহ জীবিকার জন্য বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাব এর সহ-সভাপতি মোঃ জোসেফ আলী চৌধুরীসহ স্থানীয় লোকজন জানান, কামালপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নাগরিক বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে এসে মাছ শিকার করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গরু ছাগল জন্য নৌকায় গিয়ে বিলসহ আশপাশের জমিন থেকে খাদ্য সংগ্রহ করিতেন। হেমন্ত সময় খালগুলোর মধ্যে পানি থাকতো, লোকজন মাছ সহ কৃষি জমির মধ্যে পানি দ্বারা জমিতে ধানচাষ সহ বিভিন্ন রকম ফসলাদি হাল চাষ করে উৎপাদন করতেন। বর্তমানে শত শত বিঘা জমিতে কোনও রকম ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। বেকারত্ব বেড়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদর্শনা অনুসারে দেশের কোথাও যেন পতিত জমি না থাকে। স্থানীয় লোকজন আরও জানান, লেখা বিল হাওর সহ খালগুলো ভরাট হয়ে বিভিন্ন ভাবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কামাল পুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আপ্নান আলী ইতি পূর্বে মৌলভীবাজার রাজনগর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ এর মাধ্যমে খালের কিছু অংশ খনন করেছেন। এতে কিছু লোকজন সুফল পেয়েছেন। সরকারি ভাবে ঐতিহ্যবাহী লেখা বিলের সমস্ত খনন করলে কামালপুর ইউনিয়ন, ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন, ২নং মনুরমুখ ইউনিয়নের জনগণের কৃষি জমিতে ধানচাষ সহ বিভিন্ন রকম ফসলাদি উৎপাদন সহ গরু ছাগল হাস মুরগির খামার করিতে পারিবেন। তাছাড়া খাল বিলের মধ্যে পানি থাকবে হেমন্ত সময় কৃষি ক্ষেতের মাধ্যমে অনেক রকম ফসলাদি উৎপাদন করতে পারবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছের জম্ম হবে। মাছের চাহিদা পূরণ হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। খাল খননের মাধ্যমে রাস্তা তৈরি হবে। লোকজন যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়াও কামালপুর হাইওয়ে সড়কের পূর্ব পাশের পশ্চিম পাশের বর্ষা মৌসুমে সকল পানি নিষ্কাশন হয়ে লেখাবিলের খালগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হবে। সরকারি ভাবে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় মৌলভীবাজার রাজনগর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-পরিচালক কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ সকলের নিকট জোর দাবি জানান।

[wps_visitor_counter]