পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পৃথক ঘটনায় দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত : মার্চ ১, ২০২৩ , ১১:১৩ অপরাহ্ণ

ডিজার হোসেন বাদশা, নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড়, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পৃথক এলাকায় কল্পনা আক্তার (২১) ও রহিমা খাতুন (৪৫) নামে দুই নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী কল্পনা আক্তার ও তেঁতুলিয়ার গড়িয়াগছ গ্রামের আ: সাত্তারের স্ত্রী রহিমা খাতুন। বুধবার (০১ মার্চ) বিকেলে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। একই দিন সকালে কল্পনার বাবা গোলাপ খাঁ বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। থানা পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১৯ সালে ইসলামী শরীয়াতে কাবিন রেজিষ্ট্রিমূলে মাঝিপাড়া গ্রামের গোলাপ খাঁ এর মেয়ে কল্পনার বিয়ে হয় একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৫) এর সাথে। বিয়ের সময় মেয়ের সংসার সুখে থাকার জন্য আব্দুল্লাহকে ব্যবসা করার জন্য নগদ টাকাসহ সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দান করে কল্পনার বাবা। বিয়ের ১ বছর পর থেকে নতুন করে যৌতুকের জন্য শ্বশুর কামাল হোসেন (৪৮) ও শাশুড়ি নাজমা বেগম (৪২) আব্দুল্লাহকে নির্যাতন করার জন্য হুকুম ও পরামর্শ দেন। এর পর থেকে কল্পনার উপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। এর মাঝে একটি মেয়ে সন্তানের জননী হয় কল্পনা। এদিকে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শ্বশুর ও শাশুড়ির কুপরামর্শে দুপুরে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে নির্যাতন শুরু করে আব্দুল্লাহ। নির্যাতনের মাঝে হত্যার জন্য মুখে বিষ ঢেলে দেয় সে। কল্পনা কোনমতে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা গোলাপ খাঁ বুধবার সকালে বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও যৌতুকের দাবীতে মারপিট ও বিষ প্রয়োগে হত্যা এবং সহায়তার অপরাধের মামলা দায়ের করে। এদিকে বুধবার দুপুরে স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে রহিমা। পরিবারের লোকেরা দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পারিবারিক ভাবে জানা যায়, কিছুটা মানসিক অসুস্থ্য ছিলেন রহিমা। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ না থাকায় প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।

[wps_visitor_counter]