মশাহিদ আহমদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কাল্পনিক ও ষড়যন্ত্র মামলা থেকে রেহাই পেতে মৌলভীবাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মঙ্গলবার (১৪মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের শ্রমজীবী ভুক্তভোগী হাফিজ খাঁন লিখিত বক্তব্য পরে জানান, তার ছেলে মোঃ ফয়জুল ইসলাম খান (২৬)কে ২নং আসামী করে একটি কাল্পনিক ও ষড়যন্ত্র মামলায় (সিআর মামলা নং- ৩৭০/২০২২ (কমলগঞ্জ) বিনাদোষে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। তার পরিবারের আয় রোজগারের একমাত্র ছেলের কারণে ৫সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ওই মামলায় ১নং আসামী মোঃ শামসুল ইসলাম খাঁন (৩২) তার প্রথম ছেলে প্রায় ১যুগ ধরে পরিবারের সাথে কোন সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই। লোক মুখে শুনেছেন গত বছর দেড়েক পূর্বে সে কামুদপুর বাজারে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে। সেখানে ব্যবসা করার সুবাদে ওই মামলার বাদী মোঃ আকরাম মিয়া এর সাথে মোঃ শামসুল ইসলাম খাঁন এর সাথে ঘনিষ্ঠ পরিচয়। এখানে ( শামসুল ও মামলার বাদী মোঃ আকরাম মিয়াদের মধ্যে কি নিয়ে ঝামেলা তা তাদের জানা নেই। পরিবারের সাথে প্রায় ১যুগ (১২ বছর) ধরে যোগাযোগ নেই এবং আলাদা ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছে, সে বর্তমানে কোথায় আছে তা তাদের জানা নেই, এসব ঘটনায় আমার অপর ছেলেকে আসামী করে মামলা দায়ের করা ষড়যন্ত্র এবং পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। বর্ণিত মামলার বাদী একই উপজেলার কামুদপুর এলাকার মৃত লাল মিয়া‘র ছেলে মোঃ আকরাম মিয়া (৪৪) একজন দাদন ব্যবসায়ী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে অবৈধভাবে ফায়দা হাসিল করার জন্য পুত্র মোঃ ফয়জুল ইসলাম খান-কে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তার দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালত থেকে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। কমলগঞ্জ থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও এসব বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আমাদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা কি তা জানার চেষ্টাও করেননি। মানবিক ও নৈতিক সহযোগিতা এবং রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রাপ্তির জন্য সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনসাধারণকে অবহিত করা এবং সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করেন। এবং দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে মোঃ ফয়জুল ইসলাম খান-কে মুক্ত করার দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগীর মা শিলিয়া বেগম, বোনের স্বামী তোয়াব আলী প্রমুখ।