বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ , ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। ফলে প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন শ্রমজীবী মানুষরা। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড তাপদাহে ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা ও গোমস্তাপুর উপজেলায় এই নামাজ আদায় করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৪০০-৫০০ মুসল্লি এই নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজে ঈমামতি করেন, বাগানপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রায়হান হোসাইন। এদিকে, প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি এবং বৃষ্টি বর্ষণের দোয়া করে গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নেও ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। বোয়ালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের বাগানে অনুষ্ঠিত নামাজের ঈমামতি করেন, কাশিয়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রশিদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল ইসলাম শ্যামল, সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান লালুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি আব্দুল আজিম বলেন, গত কয়েকদিনের অব্যাহত তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। রোদের তাপে গা জ্বলে যাচ্ছে। শ্রমজীবীরা কাজ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় বৃষ্টি হলে এই তীব্র গরম আবহাওয়া কিছুটা হলেও শীতল হবে। স্কুলশিক্ষক ফয়সাল আহমেদ জানান, এই মুহূর্তে বৃষ্টির চেয়ে প্রয়োজনীয় আর কিছুই হতে পারে না। ধানসহ বিভিন্ন ফসলে এখন প্রয়োজন পানির। অন্যদিকে, বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পানির স্তরও নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই পবিত্র রমজান মাসে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ইস্তেসকার নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করলাম। মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত। এই মুহূর্তে জেলার সকল আমবাগানে গাছে গাছে ঝুলছে আমের গুটি। এসব আমের গুটি পানি না পেয়ে বোটা শক্ত হয়ে ঝরে পড়ছে। পানি পেলেই আমের বোটা যেমন শক্ত হবে এবং ঝরে পরা রোধ হবে। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টি না হলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে লোকসানে পড়বে আমচাষী, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা। বাগানপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা রায়হান হোসাইন জানান, পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি হয়, তখন খরা দেখা দেয়। অথবা নদী শুকিয়ে যায়, তখন সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজ ঈদের নামাজের সময়ের মতোই। মসজিদে নয় বরং খোলা মাঠে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনও আজান বা ইকামত নেই।

[wps_visitor_counter]