নিরাপত্তাহীনতায় ঝিনাইদহের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর পরিবার

প্রকাশিত : আগস্ট ৪, ২০২২ , ৯:১৯ অপরাহ্ণ

হেলালী ফেরদৌসি, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ভিটে থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে একটি চক্র। জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও সামাজিক কারণে এলাকার একটি মহল ইদ্রিস আলী নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী রাশিদা খাতুনকেও মারধর করেছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় ১০জনের নামে মামলা করা হলে আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আদালতের বারান্দায় পর্যন্ত মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তা-হীনতায় ভুগছেন। ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার রেকর্ড সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে পড়–য়া কন্যা রঞ্জনা খাতুনকে একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় উত্ত্যক্ত করতো রঞ্জনাকে। এছাড়া জমি নিয়ে রঞ্জনার মামা সাবান শাহ’র সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ ছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২২ জুলাই আসামী উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের সলেমান মন্ডলের ছেলে তুহিন মন্ডল, আশিক, ইউনুস আলী শাহের ছেলে ওবাইদুল, আসাদুল, তোয়াজ উদ্দীন মালিথার ছেলে মনিরুল, মোফাজ্জেল মন্ডলের ছেলে রানা, পাঞ্জু শাহের ছেলে আনোয়ার, পাচু রায়ের ছেলে কৃষ্ণ রায়, একই গ্রামের আসাদ ও ভুপতিপুর গ্রামের সুরোত আলীর ছেলে বজলুর রহমান দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনি ভাবে রঞ্জনা খাতুনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তার মামা সাবান শাহ, মামি রোজিনা ও খালা শিখা খাতুনকে মারপিট করতে থাকে। তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আসামী মনিরুল ইসলাম রঞ্জনার পরিধেয় কাপড় ছিঁড়ে ফেলে শ্লিলতাহানী ঘটায়। এ সময় রঞ্জনার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ও তার অসুস্থ স্ত্রীকে আসামীরা মারধর করে জখম করে। হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর ও ঘর থেকে সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করা হলে আসামীরা আদালতের বারান্দায় বাদিনীকে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা করে ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। রঞ্জনা খাতুন বৃহস্পতিবার বিকালে জানান, আমার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করার চরম দুঃসাহস দেখিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা তিন বোন এখন নিরাপত্তা-হীনতায় ভুগছি। মামলা করার কারণে আসামীরা যে কোন সময় তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন বলেও জানান।

[wps_visitor_counter]