বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত : আগস্ট ১২, ২০২২ , ২:০৮ অপরাহ্ণ

ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে টাস্কফোর্সের অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৯৬ বোতল বিদেশি মদ, ১৩২ বোতল ফেনসিডিল ও নগদ ৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ব্যাংক রোডে সংলগ্ন ঘর পোড়া বাড়ির মৃত মো. এরশাদ উল্যার ছেলে মো. আবদুল হালিম ওরফে কাঞ্চন (৪০) ও মৃত আহসান উল্যাহর ছেলে মো. নুর নবী ওরফে মিস্টার (৪০)। শুক্রবার সকালে তাদের বিশেষ আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএইচ তাসফিকুর রহমান ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সহযোগিতা করে র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-৩, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রথম অংশে বিদেশ ফেরত কাঞ্চনকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ অর্থসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে নুর নবীকে মাদক ও নগদ অর্থসহ গ্রেফতার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ই মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, আটককৃত আবদুল হালিমের দুই কিডনিতে সমস্যা থাকায় তাকে জরুরি-ভাবে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আসামি কাঞ্চন বিদেশ থেকে এসে জমানো টাকা দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করে। অপর আসামি নুর নবী ওরফে মিস্টারের বিরুদ্ধে আগেও মাদক মামলা রয়েছে। তারা উভয় মাদক ব্যবসার মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি নিয়মিত খারাপ কাজ করে তাহলে তার ভেতরে কনফিডেন্স চলে আসে। দীর্ঘদিন মাদক-বিরোধী অভিযান না হওয়ায় তারা এই ব্যবসায় জড়িত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। আমরা নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে কারবারিদের কনফিডেন্স ভেঙে দেব। মাদক-বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

[wps_visitor_counter]