মানিকগঞ্জের বালিরটেক ভারারিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলা : ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ , ১০:২৪ অপরাহ্ণ

ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মানিকগঞ্জের ভারারিয়া গ্রামে সন্ত্রাসীরা হালিমা আহমেদ নামে এক বৃদ্ধাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে কাবু করে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে মারাত্মক ভাবে আহত করে তার স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান কাগজপত্রসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে গেছে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হালিমা আহমেদের ভাই মন্টু ও ঝন্টু আহত হয়। তাদের আর্ত-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যাপারে হালিমা আহমেদ নিজে বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ সদর থানা এলাকার বালিরটেক ভারারিয়া গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিন তাঁর কন্যা হালিমা আহমেদ ও জামাতা শামসুল আহমেদকে ৩০ বছর পূর্বে ৩২ শতক জমি সাব কবলা করে দিলে তাতে তিনি বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। তার বাড়ীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সন্ত্রাসী আসাদুজ্জামান রাজা দলবল নিয়ে বাঁধা প্রদান করে ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।। গতকাল ভোরে তারা দলবদ্ধ হয়ে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় হালিমা আহমেদ, তার ভাই ঝন্টু ও মন্টু এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর আক্রমণ চালায়। তারা হালিমা আহমেদের ঘরে প্রবেশ করে লোহার রড, শাবল, ও লাঠিসোটা দিয়ে আক্রমণ চালিয়ে আসবাবপত্র তছনছ করে ও স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৫ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান কাগজপত্র সহ ১৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে হালিমা আহমেদ নিজে বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন স্থানীয় হযরত আলীর পুত্র সন্ত্রাসী মো : আসাদুজ্জামান রাজা, তার পুত্র মো: রাব্বি, তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মজিদ, মো: নুরু, মো : পান্না, আব্দুল মজিদের পুত্র মো : জামাল উদ্দিন ; মো: নুরুর পুত্র আব্দুল রহিম ও মো: নাঈম আবুল হাশেমের পুত্র আয়নাল হক, আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মো : সবুজ, বদুটি গ্রামের মো: কালুর পুত্র আব্দুর রশিদ ও মতলবপুরের আব্দুর রশিদের পুত্র মো : শফিসহ কতিপয় সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নাম্বার ১৪। তারিখ: ৮/৯/২০২২.ধারা: ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮৫/৪২৭/৩৮০/৩৫৪/৫০৫ ও পেনাল কোড ১৮৬০। এ ব্যাপারে থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান।

[wps_visitor_counter]