স্বামী এবং শাশুড়িকে ফাঁসাতে শিশু হত্যা মামলা

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১১:৩১ অপরাহ্ণ

মশাহিদ আহমদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জেলার বড়লেখা উপজেলার ১০নং দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের পূর্ব দোহালিয়া (রামকাটার টিলা) গ্রামে স্বামী ও শাশুড়িকে ফাঁসাতে দুই মাসের শিশু আল-আমিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূ লাবনী বেগম (২৫) এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামী আব্দুল মতিন (৩০) ও তার শাশুড়ি মোছা: হাছনা বেগম (৪৮) সায়েস্তা করতেই এ ঘটনা ঘটেছে। ২৩/১০/২০২২ইং, পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামী আব্দুল মতিন এর বাড়ীতে জনসম্মুখে ঘরের চালের সহিত ওড়না বেঁধে গৃহবধূ লাবনী বেগম গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে। এ সময় প্রতিবেশীরা ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করেন এবং তাকে বাঁধা সৃষ্টি করলে সে আত্মহত্যা করা থেকে বিরত থাকে। পরবর্তীতে ঘরের আসবাবপত্র ও তার ব্যবহার উপযোগী কাপড় চোপড় ৩টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে শিশু সন্তান আল-আমিনকে সাথে নিয়ে একটি সিএনজি গাড়ী যোগে তার পিত্রালয় গাংকুলে চলে যায়। ২৪/১০/২০২২ইং শিশু আল-আমিন-কে মুমুর্ষ অবস্থায় বড়লেখা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় স্বামী আব্দুল মতিন (৩০), তার শাশুড়ি মোছা: হাছনা বেগম (৪৮) ও নজরুল ইসলাম (৪২)-কে অভিযুক্ত করে বড়লেখা থানায় হত্যা মামলা করেন। স্বামী ও শাশুড়ি মিলে হত্যা করেছেন মর্মে অভিযোগ তুলেন গৃহবধূ লাবনী। এ ঘটনায় পুলিশ আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করে এবং শাশুড়ি বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাকেও কারাগারে প্রেরণ করে। বর্তমানে মা-ছেলে দু‘জন কারাগারে রয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী নিয়ারুন বেগম, আয়রা বেগম, নাজমা বেগম, খয়রুল ইসলামরা জানান, লাবনী বেগম এর পূর্বের স্বামী ত্যাগ করে আগর ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন এর সাথে চলে আসে। তার ঔরসে একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। কিছুদিন যাবত লাবনী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে স্বামী আব্দূল মতিন ও তার শাশুড়ি মোছা: হাছনা বেগমকে জন্মের মত শিক্ষা দিবে বলে হুমকি দিয়ে সর্বশেষ ২৩/১০/২০২২ইং সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সেখানে ব্যর্থ হয়ে স্বামী ও শাশুড়িকে ফাঁসাতে নিজের শিশুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে এসব মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ২৩/১০/২০২২ইং লাবনী সকলের সম্মুখে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করছে। এর কিছু সময় পর লাবনী এর মা সুয়ারুন বেগম ও তার ভাই জাহেদ আহমদকে সাথে নিয়ে ঘরের আসাববপত্র প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে শিশু সন্তান আল-আমিনকে সাথে নিয়ে একটি সিএনজি গাড়ী যোগে তার পিত্রালয়ের উদ্যোগে চলে যায়। এ সময় শিশু আল-আমিন সুস্থ অবস্থায় ছিল। প্রতিবেশী শিশু পুত্রকে কোলে করে আদর-সোহাগ করে গাড়ীতে উঠিয়ে দিচ্ছেন।

[wps_visitor_counter]