সংস্কৃতি টেকসই উন্নয়নের চালিকাশক্তি: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : আগস্ট ২৮, ২০২২ , ১১:২৭ অপরাহ্ণ

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতি টেকসই উন্নয়নের চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এজেন্ডা ২০৩০) যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমাদের সাংস্কৃতিক নিয়ামকসসূহকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রবিবার স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গের স্কটিশ পার্লামেন্টের ডিবেটিং চেম্বারে ৬ষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক কালচারাল সামিটের তৃতীয় ও সর্বশেষ দিনে ‘সংস্কৃতি ও টেকসই স্থায়ীত্ব (Culture and Sustainability)’ শীর্ষক প্লেনারি সেশনে বক্তৃতা প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেশনটিতে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন স্কটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার Alison Johnstone। কি-নোট স্পিকার হিসাবে বক্তৃতা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নৃতত্ত্ববিদ ও Ethnomusicologist স্টিভেন ফেল্ড (Steven Feld) ও মিসরের ‘দি নাইল প্রজেক্ট’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রযোজক মিনা গির্গিস (Mina Girgis)। বিশেষ বার্তা প্রদান ও পারফর্ম করেন এডিনবার্গের গ্রিড আয়রন থিয়েটার কোম্পানি, ‘The Jungle Book Re-imagined’ খ্যাত যুক্তরাজ্যের আকরাম খান ও যুক্তরাষ্ট্রের টেকসই ফ্যাশন কনটেন্ট নির্মাতা, ফটোসাংবাদিক ও শ্রমিক অধিকার কর্মী অদিতি মায়ার (Aditi Mayer)। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করার মাধ্যমে আমরা একটি আদর্শ জাতি ও একটি আদর্শ বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা দৃঢ়ভাবে লিঙ্গ সমতা, বৈষম্য হ্রাস, সম্মানজনক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের মতো এসডিজি’র বিষয়সমূহের ওপর জোর দিয়েছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক টেকসই স্থায়ীত্ব নিশ্চিতকরণে আমাদের একটি সংস্কৃতি নীতি রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইনি কাঠামো, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, আর্থিক জোগান ও ব্যবস্থাপনা এবং সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ করে যা বাংলাদেশের সংস্কৃতি নীতির মূল ভিত্তি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৮টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, ‘ফেস্টিভাল সিটি’ হিসেবে এডিনবার্গের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী ‘Culture and a Sustainable Future’ শীর্ষক বিশ্ব-সংস্কৃতি বিনিময়ের অন্যতম বড় মঞ্চ- এ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আরো রয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি বিনিময় শাখার উপসচিব কাজী নুরুল ইসলাম এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অভ্ আর্টস নাহিন ইদ্রিস।

[wps_visitor_counter]