সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের জীবনের প্রতিফলন

প্রকাশিত : মে ২৭, ২০২৩ , ১১:০০ অপরাহ্ণ

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সংস্কৃতির মাধ্যমেই দেশ ও জাতি নিজস্ব পরিচয় ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বিশ্বের দরবারে উঠে আসে। তিনি বলেন, হাওর বাওর, নদ-নদী, বনাঞ্চল ও গারো পাহাড় সমৃদ্ধ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল বাংলার লোকসংস্কৃতির অফুরন্ত ভাণ্ডার। এই লোকসংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বাংলার লোকসাহিত্য বিকাশে অবদান রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী শনিবার ঢাকায় আইডিইবি ভবনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত ফোরামের ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবে জাতীয় লোকসংস্কৃতিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের অবদান শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও বৃহত্তর সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার প্রধান বক্তা হিসেবে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্দেশ্য হচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকসংস্কৃতি, লোকগাঁথা কিংবা লোকসাহিত্য বিকশিত করার পাশাপাশি পুরো বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি, লোকগাঁথা কিংবা লোকসাহিত্যকে বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রাখা। ২০১৫ সাল থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মৈমনসিংহ গীতিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুনর্মুদ্রণ প্রকাশ, পূর্ব বাংলা গীতিকার পুনর্মুদ্রণ উদ্যোগসহ বাংলার লোকসংস্কৃতি বিশ্ব লোকসাহিত্যের সম্পদ হিসেবে তুলে ধরতে ফোরামের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন মন্ত্রী । তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলার লোকায়ত সাহিত্য, পুঁথি নিয়ে দীনেশচন্দ্র সেন যে ভূমিকা রেখেছেন তা আজও বহু গবেষককে প্রেরণা জোগায়। গ্রামের পিছিয়ে থাকা নিরক্ষর মানুষদের ভেতরেও সাহিত্যের যে ধারা বয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে বাংলার মূলধারার সাহিত্যের পরিচয় ঘটান তিনি। বাঙালির এই প্রাচীন সম্পদকে রক্ষায় এগুলো চর্চা করতে হবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে এই কাজটি করে যাচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. মোঃ জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মোঃ মোজাফফর হোসেন, এমপি; বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বক্তৃতা করেন।

[wps_visitor_counter]