দেশে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে:ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : মে ১১, ২০২২ , ৬:৪২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙে দেশে ভূমিকম্প-সহনীয় ভবন নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান। বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত “দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা” শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙে ফেলবো। জাপানের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ভূমিকম্প-সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যেন ভবনগুলোর ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীলতা থাকে। এরইমধ্যে নির্মিত কিছু ভবন আমরা পরীক্ষা করবো, কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো শক্তিশালী করা হবে। নতুন যেসব ভবন এখন হচ্ছে সেগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে বিএনবিসি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড) মানতে হবে। তিনি বলেন, অবশ্য এক্ষেত্রে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঐতিহ্য ঘোষিত ভবনগুলোকে তালিকায় রাখা হয়নি। যেগুলো হেরিটেজ হিসেবে আছে সেগুলো স্পেসিফিক কাজে আছে। আমরা যেগুলোর কথা বলছি, আবাসিক ভবনের কথা। যেখানে মানুষ বাস করছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক কোটি তালগাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ৩৮ লাখ তালগাছ লাগানোর পর দেখা গেলো যত্নের অভাবে গাছগুলোর বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এটা বাতিল করে দিয়েছি। তিনি বলেন, একটা তালগাছ উঁচু হতে ৩০-৪০, ৫০ বছর লাগে। বজ্রপাত প্রতিরোধে এটা ততোটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এখন বজ্রপাত প্রতিরোধে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রবর্তন হয়েছে। সেটাকেই এখন দেশে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা, প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করবো। ৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপে সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ডিপিপি অনুমোদন হলে শুরু করব। পরীক্ষামূলকভাবে ৪০টি বসিয়েছি। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি তপন বিশ্বাস।

[wps_visitor_counter]