জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন

প্রকাশিত : মে ১২, ২০২২ , ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২২ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য অধিকতর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিল (ইউএনসিডিএফ) এবং স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন সুবিধা (LOCAL) বীমা, জলবায়ু বন্ড, পুঁজি বাজারকে শক্তিশালী করা, পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মিশ্র জলবায়ু অর্থায়নের মতো উদ্ভাবনী অর্থায়নের উপকরণ অন্বেষণ করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে পারে। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউএনসিডিএফ আয়োজিত লোকাল ক্লাইমেট অ্যাডাপটিভ লিভিং ফ্যাসিলিটি শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার বর্তমানে আমাদের বার্ষিক বাজেটের প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ব্যয় করছে। এই পরিমাণের ৭৫ শতাংশের বেশি দেশীয় উৎস থেকে অর্থায়ন করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির সাথে অভিযোজন অর্থায়নের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য আমাদের অভিযোজন খরচ অনুমান করা হয়েছে ৫৫ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে বার্ষিক পুনরাবৃত্ত ব্যয় হবে ১১২ মিলিয়ন ডলার। অভ্যন্তরীণ মৌসুমী ব্যয় অনুমান করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের উচ্চ ব্যয় কল্যাণ, আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচির জন্য আমাদের বরাদ্দকে প্রভাবিত করবে। শাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে ২৩ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে এবং ২০১৮ থেকে ২০৪০ সময়ের মধ্যে আমাদের প্রয়োজন হবে ৪ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আমরা প্রতি বছর সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে ২ বিলিয়ন ডলার সংস্থানের পরিকল্পনা করছি। বাকি অর্থ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এবং বেসরকারি খাতের কাছ থেকে পাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তরণের জন্য অভ্যন্তরীণ সরকারি এবং অন্য উৎসগুলোতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আমাদের আরও সুযোগের অনুসন্ধান করতে হবে। UNCDF এবং আমাদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে স্থানীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রোগ্রামটি জলবায়ু অভিযোজিত কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় সরকারকে অনুদান স্থানান্তর করতে সহায়তা করছে।অধিবেশনে ইউএনসিডিএফ-এর নির্বাহী সেক্রেটারি প্রীতি সিনহা ছাড়াও স্বল্পোন্নত দেশ, সিআইডিএস ও আফ্রিকান দেশগুলোর মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এবং মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব কবিরুজ্জামান চৌধুরী।

[wps_visitor_counter]