প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক

প্রকাশিত : মে ২৬, ২০২২ , ৬:০৪ অপরাহ্ণ

ম্যাসাচুসেটস,ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনোভেশন-এর মধ্যে বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গতকাল ক্যামব্রিজের হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্মারকটিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টারের পক্ষে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ. এলম্যানডর্ফ স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ড. কায়কাউস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরেন এবং ‘এসডিজি ২০৩০’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন অ্যাশ সেন্টারের সাথে সহযোগিতা বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। এ বছরটি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের কথা উল্লেখ করে ড. কায়কাউস দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা আরো শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মধ্যকার সম্পৃক্ততা, আরো প্রসারিত ও গভীর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার হওয়া অ্যাশ সেন্টারের জন্য বিশেষ গুরুত্ববহন করে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ. এলম্যানডর্ফ এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক অর্জন এবং এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশের সক্রিয়, বাস্তববাদী নীতি ও কৌশলের পাশাপাশি দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

[wps_visitor_counter]