ন্যাপ বাস্তবায়নে ব্রিটেনের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা পরিবেশমন্ত্রীর

প্রকাশিত : আগস্ট ২৮, ২০২২ , ১১:১২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, নতুন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)-এ চিহ্নিত ৮টি বিষয়ভিত্তিক এলাকায় ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। আমরা অবশ্যই অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করব, তবে আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপাক্ষিক সমর্থন ছাড়া, জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন এবং অর্জন করা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন হবে। তাই আমরা যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি। রবিবার পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। হালনাগাদ এনডিসিতে, বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ১৫ শতাংশ থেকে ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ স্বাভাবিক স্তরের কম পরিমণ নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অপেক্ষায় রয়েছি। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কারিগরি ও গবেষণা ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। বাংলাদেশ-ব্রিটেন ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ প্রোগ্রামের সিনিয়র উপদেষ্টা আনা ব্যালান্স, জলবায়ু ও পরিবেশ টিমের টিম লিডার এলেক্স হারভেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

[wps_visitor_counter]