উত্তরা দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ৯:৪৯ অপরাহ্ণ

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, উত্তরা (উত্তর) থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল বা MRT Line-6 এর নির্মাণ কাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা (উত্তর) হতে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৮৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। উত্তরা (উত্তর) থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত এ বছর ডিসেম্বরে এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত আগামী বছর ডিসেম্বরে চালু হবে। মন্ত্রী মঙ্গলবার উত্তরা দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। মন্ত্রী আরো জানান, মেট্ররেলে যাতায়াতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ১০০ টাকা। যেসব যাত্রী সাপ্তাহিক, মাসিক, পারিবারিক কার্ড ব্যবহার করবেন তাঁদের বিশেষ সুবিধা থাকবে। এছাড়া যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনা মূল্যে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারবেন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রতিবার ভ্রমণে বিশেষ রেয়াত পাবেন। ২০২৬ সালের মধ্যে কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার পাতাল এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার উড়ালসহ মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২১টি স্টেশন বিশিষ্ট এমআরটি-লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলেও মন্ত্রী এ সময় আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, আজ থেকেই জনসাধারণ মেট্রোরেল সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের জন্য মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীগণ পরিচয়পত্র প্রদর্শন পূর্বক প্রবেশ মূল্য ব্যতীত এই কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারবেন। অন্যান্যের প্রবেশ মূল্য হিসেবে দশ টাকা পরিশোধ করতে হবে। সপ্তাহের রবিবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা, ১১টা ও ১২ টায় এবং অপরাহ্নে ২টা, ৩টা ও ৪টায় ৫০ জনের একটি করে ব্যাচ পরিদর্শনের জন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইহুও হায়েকাওয়া, ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, এমআরটি-লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদার এবং এমআরটি-লাইন-৫ এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ আফতাব হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]