স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ৯:৩৬ অপরাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংগৃহীত চিত্র।

চুয়াডাঙ্গা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি পরাজয়ের গ্লানি এখনও ভুলে যায়নি। তারা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। এ সময় মন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করতে আহ্বান জানান। শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর ও জীবননগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে এবং করছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল শুধু লুটপাট করেছে। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। দেশের ৬৩ জেলা ও ৪৭০ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ জেলা ও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২১ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগর টগর, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিকসহ সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জীবননগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]