চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ৭:৫৬ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। সবচেয়ে বড় আড়তের কাজ করে চট্টগ্রাম বন্দর। এ বন্দরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। বন্দরের কাজে কিছুটা সমস্যা আছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসকে একসাথে কাজ করতে হবে। কাস্টমস জটিলতায় কাস্টমস ও ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে। কাস্টমস জটিলতা দূর করতে মালামাল ছাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের সকল কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। এরপরেও মালামাল ছাড় করতে কারো কোনো অবহেলা থাকলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার সাথে সাথে চট্টগ্রাম বন্দর মালামাল ছাড় করে থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। এ লাইফলাইনকে আরো গতিশীল করতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ আয়োজিত ‘দেশীয় বিনিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও এবং এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নূরুল কাইয়ুম খান, শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কমডোর (অবঃ) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ.ই. মামুন, যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদ এবং বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মোংলা বন্দর ও পায়রা বন্দর নিজস্ব বিনিয়োগে এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থে পায়রা বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার মানে বাংলাদেশের অধিকার। জাপানের অর্থায়নে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ও আন্দারমানিক নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। মোংলা বন্দরের আউটারবারে ড্রেজিং হয়েছে এবং ইনারবারে ড্রেজিং চলছে। পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, মাতারবাড়ি বন্দর সিঙ্গাপুরের বন্দরের মতো হবে। চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব উন্নয়নের পাশাপাশি পায়রা বন্দরের উন্নয়নে অর্থায়ন করছে। চট্টগ্রাম বন্দর করোনার সময়ে সরকারি তহবিলে ৩০ কোটি টাকা দিয়েছে। সে অর্থ সরকার করোনা মোকাবিলায় ব্যয় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চট্টগ্রাম বন্দর। অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-ঢাকা নৌপথ বিশ^ব্যাংকের সহায়তায় ড্রেজিং করা হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের সমীক্ষা হচ্ছে।

[wps_visitor_counter]