স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সংগৃহীত চিত্র।
ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ ফার্মেসি বা অন্য কোনো অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান এন্টিবায়োটিক বিক্রি করতে পারবে না। যদি কোনো ফার্মেসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করে, সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিংয়ে ধরা পড়লে সেই ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী এ সময় বলেন, এন্টিবায়োটিকের ভুল প্রয়োগে বিশ্বে বছরে ১৫ লাখের অধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এন্টিবায়োটিকের ভুল প্রয়োগে এখন মৃত্যু হার বাড়ছে। দেশে যত্রতত্র ইচ্ছেমতো এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের নির্দেশনা ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি হয় না। কিন্তু আমাদের এখানে ইচ্ছে মাফিক এন্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। মাছ, মাংসের মধ্যেও এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে আইনেরও অনেকটা ঘাটতি রয়েছে। এই সুযোগটিই দুর্বৃত্তরা কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ওষুধ আইন-২০২২ এর করার কাজ চলমান রয়েছে। একনেকেও পাশ হয়ে গেছে আইনটি। এখন সংসদে পাশ হলেই এই আইনের প্রয়োগ ঘটানো হবে এবং অপচিকিৎসার সাথে জড়িত ও ভেজাল মেশানোদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যাবে। মন্ত্রী দেশে এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার এখনই রোধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নইলে এটিই হবে আমাদের জন্য আরেকটি নিরব মহামারি। করোনার টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ সময় বলেন, গত চার দিনে মানুষ অনেক টিকা গ্রহণ করেছে। এতে আমরা এখন লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৮ ভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। যারা এখনো ভ্যাকসিন নেয়নি তাদের জন্য আগামী তিন দিন ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এরপর তারা আর ভ্যাকসিন নাও পেতে পারেন। সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।