পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে বাণিজ্য ব্যবধান কমবে

প্রকাশিত : অক্টোবর ২০, ২০২২ , ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র এবং দেশটির সাথে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ভেজিটেবল ফ্যাট ও প্রচুর পামওয়েলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। উচ্চ শুল্কহারের কারণে সে পরিমাণ বাংলাদেশের পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। এ কারণে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার Haznah Md Hashim এর সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ৩ হাজার ২৮৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে মালয়েশিয়ায় মাত্র ৩৩৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার ৯৫১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। চলমান এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু রপ্তানি পণ্যের তালিকা শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। মালয়েশিয়ার তৈড়ি গাড়ি বিশ্ব বাজারে বেশ জনপ্রিয়। উচ্চশুল্ক হারের কারণে এসব গাড়ি বাংলাদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুল্ক কমালে এগুলো বাংলাদেশে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আরো অনেক সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়া এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিমসহ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এবং মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের কাউন্সিলর আনিস ওয়াজদি মোহা. ইউসুফ ও ফার্স্ট সেক্রেটারি Hohd Aszuan Abd Samat উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]