ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাল্য বিয়ের ফলে মেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ ও আর্থিকভাবে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে না। আর্থিক ক্ষমতায়নের অভাবে তারা সহিংসতার স্বীকার হয়। বাল্য বিয়ে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাল্য বিয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সম্মিলিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে এখনই বন্ধ করতে হবে। বাল্য বিয়ের সাথে মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কিত। আঠারো বছরের পূর্বে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ আঠারো বছরের পূর্বে মেয়েরা সন্তান ধারণের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে পূর্ণতা অর্জন করে না। ইন্দ্রিরা বলেন, বাল্য বিয়ে আইন সংশোধন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং নারী ও কন্যাশিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের ফলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাল্য বিয়ের হার দ্রুত কমেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্য বিয়ে মুক্ত হবে। তিনি বলেন, কন্যা শিশুর শিক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত হবে। নারী-পুরুষের সমতার পরিবেশ গড়ে উঠবে। কন্যা শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলে কন্যা শিশুরা রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেটালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও লন্ডন স্কুল অভ্ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের যৌথ আয়োজনে National Plan of Action to End Child Marriage: Lessons and way for implementation শীর্ষক কর্মশালয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ইউনিসেফ রিপ্রেজেন্টেটিভ শেল্ডন ইয়েট, ইউএনএফপি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লোকাউস ও লন্ডন স্কুল অভ্ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মেলিসা নৈইমেন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।