স্মার্ট বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ ডিজিটাল নিরাপত্তা

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১০:৩২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করার উত্তম উপায় হচ্ছে প্রযুক্তি সাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। তা না করতে পারলে জাতিকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। সরকার সে কাজটি দৃঢ়তার সাথে করছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম এন্ড টেকনলোজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘স্মার্ট কানেক্টিভিটি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সংযুক্তি প্রসারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিক বিবর্তন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তির ওপর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইন্টারনেট প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল কনটেন্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তা না হলে নতুন প্রজন্ম নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে যাবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশীয় সংস্কৃতি যুক্ত না হবে বিপদের সম্ভাবনা তত বাড়তেই থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জের নাম হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা। তিনি বলেন, স্মার্টনেস পোশাকে নয়, স্মার্টনেসের জন্য দরকার প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন। ইন্টারনেটের পাশাপাশি স্মার্ট দুনিয়ায় কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা এমন একটি পর্যায়ে আছি, যেভাবে প্রতিদিন অনলাইনে জুয়া বসে, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে হয়রানি করা হয়; সেখানে আমরা একরকম অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে গেছি। এটা রোধে ইন্টারনেটে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই অবস্থাটা আগামীতে আরো ভয়ঙ্কর হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেটা মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যত বেশি স্মার্ট হব তত বেশি আপদ-বিপদ আসবে।’ এই ব্যাপারে ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরির জন্যসাংবাদিকগণ অতীতের মতো আগামীতেও ভূমিকা রাখবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ, ডিআইজি হায়দার আলী খান, এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফারহাদ, আইএসপিএবি’র সভাপতি এমদাদুল হক, ফাইভার এট হোমের কর্মকর্তা সুমন সাব্বির এবং টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন বক্তৃতা করেন।

[wps_visitor_counter]