দক্ষতার উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও পুঁজি সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে সরকার

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩ , ৯:৫৯ অপরাহ্ণ

সিংড়া, নাটোর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে একজন তরুণ তরুণীও বেকার থাকবে না, যদি তারা নিজেদের দক্ষ করে তুলতে পারে। দক্ষতার উন্নয়নে আইসিটি বিভাগ তরুণ-রুণীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও পুঁজি সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে। প্রতিমন্ত্রী শনিবার নাটোরের সিংড়ার গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে ‘সিংড়া আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প এবং চাকরি উৎসব-২০২৩’ এর সমাপনী দিনে ‘প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও পুঁজি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন। স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও ক্যারিয়ার গড়ে তোলায় উদ্বুদ্ধ করতে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প, বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন (ডিইআইইডি) প্রকল্প এবং আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ শহর ও গ্রামের মধ্যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে দূরত্ব কমিয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানিতে বাংলাদেশের তরুণ তরুণীরা ঘরে বসে কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণার বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে দেশের তরুণরা। এজন্য প্রত্যেককে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের পথ বেছে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প থেকে ৩৮২ টি স্টার্টআপকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। আমরা হার পাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৪৩টি জেলায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করব। পলক বলেন, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তি এ দুটিকে কাজে লাগিয়ে আইসিটি খাতে গত ১৪ বছরে ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। সেই লক্ষ্যে শিক্ষিত তরুণদের ফ্রিল্যান্সিংসহ আইটি পেশা গ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, ডিইআইইডি প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মোঃ বালিগুর রহমান, বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ জান্নাতুল ফেরদৌস, গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ ফরহাদ হোসেন। চাকরি উৎসব-২০২৩ এ কোডার ট্রাস্ট, নকরেক আইটি, বিএফডিএসসহ ২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এসব প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার ৬৪১টি চাকরির আবেদনের ভিত্তিতে সাক্ষাৎকার নেয়।

[wps_visitor_counter]