ব্যাংক হিসাব ছাড়াই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার অধীনে আনা হচ্ছে

প্রকাশিত : এপ্রিল ৪, ২০২৩ , ১১:০০ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ক্যাশলেস অর্থনীতির দেশ গড়ে তুলতে আন্তঃলেনদেনে ‘বিনিময়’ প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, এর মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব ছাড়াই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার অধীনে আনা হচ্ছে । প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে গ্রামীণফোন-ঢাকা ব্যাংক ও মাস্টার কার্ডের যৌথ অংশীদারিত্বে কো-ব্রান্ডিং ট্র্যাভেল কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন। পলক বলেন, কিউআরে কোড ব্যবহার করে এরই মধ্যে চা-বিক্রেতা ও মুচি দোকানির মতো ভাসমান ব্যবসায়ীরা এখন আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার করছেন কিউআর কোডে। ঢাকার মতিঝিল ও গুলশান ডিসিসি মার্কেট ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে যাচ্ছে গাজীপুর, শেরপুর, গোপালগঞ্জ, টুঙ্গীপাড়া, নাটোর, সিংড়া ও পীরগঞ্জেও। এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বিল গেইটসের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ব্যাংক নয়, ব্যাংকিং হচ্ছে জরুরি। তাই প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই সেবা ক্রমেই দেশজুড়েই ছড়িয়ে দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে রেকর্ড বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন দেশজুড়ে ই-গভঃ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই সহজেই সরকারি সেবা পাচ্ছে । তাই আমরা সবসময় বেসরকারি খাতের নেতাদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট সল্যুশন সেবা দিতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরানুল হক, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল। অনুষ্ঠান শেষে দুই ধরনের কো-কার্ড- তাইয়্যেবা ও ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ড উন্মোচন করা হয়। এসময় মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের পরিচলক জাকিয়া সুলতানা, ঢাকা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোশতাক আহমেদ ও ডিএমডি আখলাকুর রহমান, হেড অভ্ রিটেইল এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশীদ এবং গ্রামীণ ফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব ও হেড অভ্‌ মার্কেটিং ফারহানা রহমান উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত তিন সিইও-এর হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই কার্ড গ্রহণ করেন ঢাকা ব্যাংক ও গ্রামীণ ফোনের দুই সিএক্সও। এছাড়া এই কার্ড হস্তান্তর করা হয় ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের হাতে।

[wps_visitor_counter]