দীনেশচন্দ্র সেনের কর্ম গবেষকদের জন্য প্রেরণা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

প্রকাশিত : জুন ২, ২০২২ , ৪:২৮ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দীনেশচন্দ্র সেন বাংলার প্রাচীন লোক সাহিত‌্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে বাঙালিকে গৌরবান্বিত করেছেন। তিনি বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ইতিহাস বিশ্ব সাহিত‌্যে স্থান করে দিয়ে বাঙালির মেধা, সৃজনশীলতা ও শৌর্য-বীর্যকে চিনিয়েছেন। আমরা এই দেশের মানুষ দীনেশচন্দ্রের উত্তরাধিকারী হিসেবে ধন্য। মন্ত্রী বুধবার সন্ধ‌্যায় ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব‌্যবস্থাপনা একাডেমি মিলনায়তনে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভারত আয়োজিত ‘দীনেশ-রবীন্দ্র চিঠিপত্র সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁকে দেয়া সম্মাননার জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সংসদ সদস‌্য অ‌্যারোমা দত্ত, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, কথা সাহিত‌্যিক সেলিনা হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ‌্যালয়ের সাবেক অধ‌্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, ড. দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া এবং নজরুল গবেষক এ এফ এম হায়াতুল্লাহকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। দীনেশচন্দ্রের প্রপৌত্রী ও আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভারত-এর সাধারণ সম্পাদক দেবকন‌্যা সেন সম্মাননা হস্তান্তর করেন। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলার লোকায়ত সাহিত্য, পুঁথি নিয়ে যে গবেষণার রাস্তা দীনেশচন্দ্র দেখিয়ে গিয়েছিলেন, তা আজও বহু গবেষককে প্রেরণা যোগায়। গ্রামের পিছিয়ে থাকা নিরক্ষর মানুষদের মাঝেও সাহিত্যের যে ধারা বয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে বাংলার মূল ধারার সাহিত্যের পরিচয় ঘটান তিনি। এর ফলে বাংলার একটা বড়ো সাহিত‌্য ধারা আমাদের সামনে চলে এল। মন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের মাধ‌্যমে মৈমনসিংহ গীতিকা পুণ:প্রকাশ করে আমরা বাঙালির অমূল‌্য সম্পদ রক্ষা করেছি। দীনেশচন্দ্রের পূর্ববাংলা গীতিকা সংগ্রহ করেছি। আগামী বই মেলার আগে পূর্ববাংলা গীতিকার বাংলাদেশ সংস্করণ প্রকাশ করা হবে বলে দৃঢ় প্রত‌্যাশা ব‌্যক্ত করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজন ছাড়াও জাতীয় শিক্ষা ব‌্যবস্থাপনা একাডেমি’র মহাপরিচালক মো: নিজামুল করিম, বিশিষ্ট সমাজ উন্নয়নকর্মী এইচ এম নোমান বক্তৃতা করেন।

[wps_visitor_counter]