স্বাধীনতা বিরোধীদের কথায় এ দেশ আর চলবে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হবে

প্রকাশিত : মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১১:২৬ অপরাহ্ণ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংগৃহীত চিত্র।

বিরল, দিনাজপুর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বর্তমান সরকার তৈরি করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি মসৃণ পথ তৈরি করব। এদেশ চলবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে। স্বাধীনতাবিরোধীদের কথায় এ দেশ আর চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ হবে, রাজাকারদের নয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মধ‍্য দিয়ে অমরত্ব বরণ করেছেন। আপনাদের প্রস্থান হতে পারে; শারীরিক মৃত‍্যু হতে পারে, কিন্তু আপনাদের কর্মের মৃত‍্যু হবে না। আপনারা যে ইতিহাস তৈরি করেছেন-সে ইতিহাস তৈরি করার ক্ষমতা আর কারো নাই। প্রতিমন্ত্রী রবিবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যা করার কারণে মির্জা ফখরুলদের মতো পরিবারেরা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যা না করলে মির্জা ফখরুলদের জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যা করার কারণে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদর আলশামসরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যা না করলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিত। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু হত‍্যার বেনিফিসিয়ারি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজকে বেনিফিসিয়ারি। তাদের সম্মান ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধু কন‍্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বাড়ি হচ্ছে, ভাতা হচ্ছে, চিকিৎসা হচ্ছে, সম্মান পাচ্ছে-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্র্তমন আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আজ দিবসের প্রথম প্রহরে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (সেতাবগঞ্জ বড় মাঠ) মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির শুরুতেই আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন।

[wps_visitor_counter]