ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আবদুর রহমান বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নেয়া হবে। এ খাতে উৎপাদন বাড়ানোর সাথে সাথে গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, প্রাণিখাদ্য উৎপাদনে যেন কোনভাবেই ভেজাল মেশানো না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহবান জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শনিবার (২ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ এ্যাকোয়া প্রোডাক্টস কোম্পানিজ এসোসিয়েশন (বাপকা) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। বাংলাদেশে যে সম্পদ আছে তা কাজে লাগাতে পারলে কোন সমস্যা থাকবে না। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের ৭২ হাজার জেলেকে পুনর্বাসন এবং মৎস্য শিল্পের উন্নয়নের জন্য ৯১ কোটি ২ লক্ষ টাকার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আবদুর রহমান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ, নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন, ইকো-সেনসেটিভ অঞ্চলে মৎস্য অভয়াশ্রম, ইলিশ সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিকাশে সামুদ্রিক মাছের মজুত নিরুপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের চাহিদা পূরণ করে মাছ বিদেশে রপ্তানি করার বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য লজ অব সী এর রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পর সুনীল অর্থনীতির ব্যাপক দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তার যথাযথ সুফল পেতে সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন, সমিতি, উদ্যোক্তা, এনজিওসহ সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বক্তব্য প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।