আইসিটি দক্ষতা এখন লিটারেসির পার্ট

প্রকাশিত : জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলা এবং ইংরেজি দুটোই জানতে হবে। আইসিটি দক্ষতা এখন লিটারেসির পার্ট হয়ে গেছে। মন্ত্রী মঙ্গলবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান শেয়ারিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যগণ এই সভায় বক্তব্য রাখেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষায় গুণগতমান নিশ্চিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা ইতোমধ্যে একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। এটি বর্তমান সময়ের চাহিদার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। আউটকাম বেইজড এডুকেশনকে মাথায় রেখে দেশে-বিদেশে জব মার্কেট বিশ্লেষণ করেই এই একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভাষা আমাদের জানতেই হবে। ভাষা, আইসিটি, সফ্ট স্কিল এবং এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, কমিউনিকেশন স্কিল, ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিল- এগুলো জানতে হবে। বিদেশে সফ্ট স্কিল স্কুল কলেজ থেকেই শেখানো হয়। আমাদের এখানে শেখানো হয় না।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কে হাঁস-মুরগি পালবে। আর কে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হবে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু এন্ট্রাপ্রেনারশিপ স্কিল শিখতেই হবে। আমি যদি ঘরকন্যাও করি তাতেও আমার কাজে লাগবে। সেজন্যই আমি মনে করি ভাষা, আইসিটি, সফ্ট স্কিল এবং এন্ট্রাপ্রেনারশিপ এবং মূল্যবোধ- প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবশ্য শেখা দরকার। সে কারণেই এমবেডেড কোর্স হিসেবে শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার কারণ হচ্ছে উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগতমান উন্নয়ন হলে সারা দেশের উচ্চ শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষার্থীর জীবনে পরিবর্তন আসবে। সে জন্যই আমি মনে করি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন বেশি জরুরি এবং তারা সেটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করছেন।’ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানটা খুবই জরুরি।

[wps_visitor_counter]