তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন

প্রকাশিত : জুন ৭, ২০২২ , ১০:৩৮ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করেছে তথ্য অধিদফতরের এক পরিদর্শন দল। তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম ও মোঃ আবদুল জলিল ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা-মাওয়া অংশের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেন। এ সময় স্থানীয়রা জানান, এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও অভাবনীয় অগ্রগতি হচ্ছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর এক্সপ্রেসওয়ে পরিপূর্ণভাবে চালু হলে এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পকারখানা স্থাপন কার্যক্রমে আরো গতি আসবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত যেতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, পদ্মা সেতু চালু হলে এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে সময় ৪-৫ ঘণ্টা কমে আসবে। যার ফলে উপকৃত হবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এসব জেলায় নতুন নতুন শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে, অর্থনীতিতে আসবে নতুন গতি। কৃষি ও অন্য পচনশীল পণ্যসহ এসব জেলার উৎপাদিত পণ্যসমূহ তখন খুব কম সময়ে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার এবং পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক মানের ছয় লেন বিশিষ্ট এই এক্সপ্রেসওয়েতে ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, ৩১টি সেতু, ৪৫টি কালভার্ট এবং দুইটি সার্ভিস লেন রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের দুই অংশে যানবাহন চলাচল করলেও পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এতদিন এই সড়কের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২৫শে জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এ আধুনিক মহাসড়ক পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। দেশের প্রথম জাতীয় এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে যোগাযোগ, পরিবহন, শিল্পায়ন, কানেক্টিভিটি এবং জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এর অবদান হবে সুদূরপ্রসারী।

[wps_visitor_counter]