জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত : জুন ১৪, ২০২২ , ৮:১৭ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ১৫ জুন ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১৫-২১ জুন, দেশব্যাপী ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে Computer Assisted Personal Interviewving (CAPI)-এর মাধ্যমে দেশের সকল গৃহ ও ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হবে যা দ্রুততম সময়ে শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা পরিবীক্ষণে পরিসংখ্যানের অপরিহার্য গুরুত্ব অনুধাবন করে ৪টি পৃথক পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠানকে একীভূত ও সুসমন্বিত করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে বিবিএস-এর সার্বিক কর্মকাণ্ড সমন্বয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে পবিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘পরিসংখ্যান বিভাগ’, যার বর্তমান নাম ‘পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ’। পরিসংখ্যান একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক। আমি বিশ্বাস করি, টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। আওয়ামী লীগ সরকার সকলক্ষেত্রে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য গ্রহণযোগ্য ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান সংগ্রহ এবং প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়া ও পরিজ্ঞাতকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে চাহিদা মাফিক উপাত্ত সরবরাহ এবং পরিসংখ্যান বিষয়ক কার্যক্রম সময়োপযোগী ও ত্বরান্বিতকরণে আমাদের সরকার সর্বদা সচেষ্ট। জাতীয় পরিসংখ্যানিক ব্যবস্থাকে আইনগত ভিত্তি প্রদানের জন্য ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত জনশুমারি ও গৃহগণনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশে পরিচালিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করার মাধ্যমে মানুষের সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধনই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি আশা করি, ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়নসহ অন্যান্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পরিবীক্ষণে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। তাই শুমারিকর্মীগণকে সঠিক তথ্যপ্রদান ও তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে সকল প্রকার সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমি প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]