ডিএফসি’র অর্থায়নের মাধ্যমে আরো মার্কিন বিনিয়োগ কামনা বাংলাদেশের

প্রকাশিত : আগস্ট ১৯, ২০২২ , ৭:০২ অপরাহ্ণ

ওয়াশিংটন ডিসি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মার্কিন সরকারের প্রতি তাদের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (ডিএফসি) মাধ্যমে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইকোনমিক গ্রোথ, এনার্জি অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের কাছে এ আহ্বান জানান। বৈঠকে ড. চৌধুরী এবং আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং এটিকে আরো শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জ্বালানি উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে স্বনির্ভর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত নীতির বিষয়ে আন্ডার সেক্রেটারিকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ সরকার কিভাবে গ্যাস, তেল ও কয়লা, পারমাণবিক এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনছে এই বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান বৈশ্বিক জ্বালানি ঘাটতি বাংলাদেশসহ অনেক দেশকে তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা পরিস্থিতির উন্নতিতে ভূমিকা রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ডিএফসি’র অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো দেশে আরো বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এবং বাংলাদেশে পারমাণবিক শক্তি মডুলার চুল্লির সম্ভাবনা দেখার জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলিকে উৎসাহিত করেন। আন্ডার সেক্রেটারি চমৎকার আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের দেশগুলিকে প্রভাবিত করছে তা স্বীকার করে ফার্নান্দেজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য, জ্বালানি বা সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। উপদেষ্টা পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি শিল্পের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে একটি উচ্চ-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল “Current State of Play: U.S.-Bangladesh Energy Cooperation” থিমের অধীনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। তিনি বর্তমান জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় এবং বাংলাদেশের মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্বল্প থেকে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই সমাধানের জন্য সরকার যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা তুলে ধরেন।

[wps_visitor_counter]