থাই ভাষায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত : আগস্ট ২৫, ২০২২ , ১১:২০ অপরাহ্ণ

ব্যাংকক, থাইল্যান্ড, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন থাইল্যান্ডের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার থাই ভাষায় অনুদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডি সেন্টার ও ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক Narin Hiransuthikul এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল হাই। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর পুরো জীবন দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে না জানলে বাংলাদেশকে জানা সম্ভব নয়। এ গ্রন্থটি যুব সমাজের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতার জীবন সম্পর্কে জানার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এ অনুবাদ থাইভাষী পাঠকদের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ একটি অনন্য সাধারণ দলিল যা শুধু একটি রাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাসকে তুলে ধরেনি, গ্রন্থটি এমন একজন ব্যক্তি কর্তৃক রচিত যিনি নিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং দেশবাসীকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী এ আয়োজনকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের উল্লেখযোগ্য অংশ বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল হাই বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, তাঁর জীবন দর্শন থাইভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটির অনুবাদ বিশেষ অবদান রাখবে। তিনি বইটি অনুমোদন, অনুবাদ ও প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডি সেন্টারের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় অন্যান্য দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]