বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত : আগস্ট ২৭, ২০২২ , ৭:৪০ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, প্রাক্তন সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ কৃষক লীগ, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ‌’৬২-র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৮-র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার হতে হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মেজর নূর রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে, ভোর রাতে হত্যার জন্য ব্রাশফায়ার করতে গেলে তৎকালীন সেনা অফিসার আমিন আহমেদ চৌধুরী তাঁকে উদ্ধার করেন এবং তিনি প্রাণে বেঁচে যান। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করলে আবারো গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।
একুশে পদক- এ ভূষিত আব্দুল জব্বার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে প্রতিবাদে সোচ্চার থেকেছেন সব সময়। মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। মরহুম আব্দুল জব্বারের ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর সততা ও জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আমি মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]