ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১, ২০২২ , ৯:০৯ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের অভিযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম, ডাটাকার্ড এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে কম্পোজ করে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের মাধ‌্যমে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে উন্মোচিত হয় বিজয় বাংলা সফটওয়‌্যারের মাধ‌্যমে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের স্বর্ণালী এক অধ‌্যায়ের।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে দশ টাকা মূল‌্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও দশ টাকা মূল‌্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এই উপলক্ষ‌্যে পাঁচ টাকা মূল‌্যমানের ডাটাকার্ড এবং একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রী বলেন, ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তি ও ঘটনার ঐতিহাসিক স্মারক হিসেবে কাজ করে। তিনি বলেন, চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকেটের প্রয়োজনীয়তা আছে, থাকবে। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকেট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। একইভাবে এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অঙ্কন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদেরকে স্মারক ডাকটিকেটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী মুদ্রণ যন্ত্রে বাংলা হরফের ক্রমবিকাশ তুলে ধরে বলেন, ১৪৫৪ সালে জার্মানে মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার হলেও পঞ্চানন কর্মকারের হাত ধরে ৩২৪ বছর পর তা হুগলিতে আসে। শীশার হরফে বাংলা প্রকাশনার সেই কঠিন যুগ পেরিয়ে সাপ্তাহিক আনন্দপত্রের প্রকাশনা ছিলো বাঙালির ইতিহাসের একটি অভাবনীয় অধ‌্যায়। এই অধ‌্যায়টি উদ্ভাবক কে সেটা বড় বিষয় নয় কিন্তু ইতিহাসের পথ রেখায় সেটি যাতে মুছে না যায় সে জন‌্য স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে ডাক অধিদপ্তর সঠিক দায়িত্বটি পালন করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। মোস্তাফা জব্বার বলেন, কম্পিউটারে বাংলা হরফে সাপ্তাহিক আনন্দপত্র এর প্রকাশনা দেশের মুদ্রণ ও প্রকাশনার শিল্পের জন‌্য ঐতিহাসিক মাইলফলকই নয়, এটি দেশে সংবাদপত্র বিকাশে বিস্ময়কর অবদান রেখে আসছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব-উল আলম, ডাক অধিদপ্তরের- মহাপরিচালক মো: হারূন উর রশীদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]