একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১০:২২ অপরাহ্ণ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী, যাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে কিন্তু সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমের বইগুলো পড়ানো হয় না, তারা ব্যাপকভাবে এই বইগুলো নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছেন। ভুলত্রুটি যা রয়েছে তা সংশোধন করা হচ্ছে। কিন্তু যে বিষয় বইতে নেই, যে বিষয় যেভাবে নেই, যে কথা বইতে বলা হয়নি, যে ছবি আমার বইতে নেই; মিথ্যাচার করে, ফটোশপ করে, এডিট করে সেগুলো বইয়ের অংশ বলে একটি শ্রেণি অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং পাশাপাশি লেখক, শিক্ষক, যেসব শিক্ষাবিদ-বিশেষজ্ঞরা জড়িত ছিলেন, আমরা যারা মন্ত্রণালয়ে আছি, আমাদের কদর্য ভাষায়, কুৎসিতভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চলেছে এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার আশুলিয়ায় ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ভারতের হিমাচল প্রদেশের শুলিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য অধ্যাপক অতুল খোসলা। অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা পাঠ্যবই নিয়ে বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হতো, তাহলে নিশ্চয় তারা মিথ্যার আশ্রয় নিতেন না, কদর্য আচরণ করতেন না এবং আমাদের হুমকি দিতেন না। এরা কারা? এরাই তারা যারা পঞ্চাশের দশকে বলেছিল, নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে। এরাই তারা যারা ৯০ এর দশকে বলেছিল, নৌকায় ভোট দিলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের অংশ হয়ে যাবে, মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। এর কোনোটিই কিন্তু ঘটেনি। এই একই অপশক্তি নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যেখানে বইতে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, মানুষ বানর থেকে হয়নি, সেখানে তারা বলছেন যে আমরা নাকি বইতে বলেছি, বানর থেকে মানুষ হয়েছে। এই মিথ্যাচার, অপপ্রচার কেনো? যেভাবে কদর্য ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে করছেন, সকল ধর্ম কী বলে? সকল ধর্ম বলে সত্য কথা বলতে, কিন্তু তারা মিথ্যাচার করছে, অপপ্রচার করছে, গুজব রটাচ্ছে। যারা মন্দ কাজ করছে তাদের উদ্দেশ্য মন্দ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা নিশ্চয় থেমে থাকব না। ভালো কাজ যা করার তা করব। তবে সমাজের যে বিষয়টি সংবেদনশীল সেটি বিবেচনায় নেব, যেখানে সংশোধন করা দরকার সেটি সংশোধন করব। মিথ্যাচার, অপপ্রচার দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করা যাবে না। মন্ত্রী বলেন, এসব অপপ্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবার আগে সত্যটা যাচাই করে নিন। বইগুলো ওয়েবসাইটে আছে, আপনার বাড়ির পাশে স্কুল আছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন এই কারিকুলামটি যখন শুরু হল, তখন আমরা দেখলাম শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া। বইগুলোর মধ্যে ভুল থাকতে পারে। আমরা যখনই ভুল পাচ্ছি তখনই সংশোধন করে দিচ্ছি। আমরা দুটো কমিটি করে দিয়েছি। একটি কমিটি বইয়ে ভুল থাকলে বলবে, সেটি আমরা শুদ্ধ করে দেব। আরেকটি কমিটি করেছি, কারণ কেউ কেউ বলেছেন এর মধ্যে চক্রান্ত আছে, ষড়যন্ত্র আছে। এগুলো তদন্ত করবার জন্য।

[wps_visitor_counter]