সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১১:২৯ অপরাহ্ণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারে বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)-এর সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে ‘সুনীল অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ : গবেষণা অর্জন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আইন করেছিলেন। সেই আইনের ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রসীমায় অধিকার অর্জনের কাজ শুরু করেন। সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া আর কোনো সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেরা কূটনৈতিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ আয়তনের সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি। সে সমুদ্রসীমায় সম্পদ আহরণ ও তার গুণগত ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এ বিষয় নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে বিএফআরআই। মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গবেষণায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিচ্ছে, সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। দেশের সর্বত্র গবেষণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে মৎস্যসম্পদে আমূল পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত ও পৃষ্ঠপোষকতায় এটা সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৫২ টি দেশে আমাদের মৎস্য রপ্তানি হয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। মৎস্য রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ক্রমান্বয়ে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রী আরো জানান, আমাদের সমুদ্রে সীউইডসহ যে অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ রয়েছে তার আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে। এর ব্যবহার ও বিপণন কীভাবে করা যায় সেটাকে গবেষণার অংশে পরিণত করতে হবে। গবেষণার অর্জন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। পরে কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক কক্সবাজার জেলায় বাস্তবায়নাধীন শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্পের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

[wps_visitor_counter]