জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : মার্চ ৮, ২০২৩ , ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার ৯ই মার্চ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদান’ উপলক্ষ্যে নিম্নলিখিত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১’ প্রদান উপলক্ষ্যে আমি পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
শিল্পের এক অনন্য রূপ চলচ্চিত্র যা বিনোদনের পাশাপাশি সমাজ ও সময়ের বাস্তব চিত্র এবং দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। চলচ্চিত্র মাটি ও মানুষের কথা বলে; মানুষের স্বপ্ন ও সাধনাকে সেলুলয়েডে বন্দি করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ইপিএফডিসি বিল উপস্থাপন করেন যা সে বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়। জাতির পিতার এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বিএফডিসি। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ও বিনোদনমূলক কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রগুলোর আবেদন ও প্রভাব আজও সমাজে বিদ্যমান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ ধরে সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তন্মধ্যে ৩ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ও চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বিএফডিসির আধুনিকায়ন এবং জেলায় জেলায় আধুনিক সিনেমা হল সংবলিত তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পুরানো সিনেমা হলসমূহের সংস্কার ও বন্ধ সিনেমা হলসমূহ চালু করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমি আশা করি, সরকারের এসব উদ্যোগ বাংলা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেশে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]