চট্টগ্রাম, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এখন ভাতা পাচ্ছে। এর বাইরেও ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ডসহ নানা সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নৌকা মার্কার সরকার এসব ভাতা চালু করেছে। যা আগের কোনো সরকার করে দেখাতে পারেনি। সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরনের ভাতা চালু করেছে।’
রবিবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে পঞ্চগড় সফররত অবস্থায় ভার্চুয়াল উপায়ে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কোদালা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউপি প্রাঙ্গণে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ। মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথম বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রচলন করেছিলেন। বিএনপি এসে তা আর বাড়ায়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ভাতার পরিমাণ যেমন বাড়িয়েছে তেমনি ভাতার সংখ্যাও বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা যদি আবার ক্ষমতায় না আসেন তবে এসব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।’ ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। দেশ আজ উন্নয়নে পাল্টে গেছে। রাঙ্গুনিয়াতেও হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আপনাদের সন্তান হিসেবে গত ১৪ বছরে সকলের জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। আগামীতে আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখবেন বলে আশা করি এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।’ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বাদশা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইছহাক, যুবলীগ নেতা মো. শোয়াইব, আবদুল জব্বার, মাওলানা নুরুল আজিম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠন এবং ইউপি সদস্যবৃন্দ সমাবেশে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।