ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান বলেছেন, পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের নদী অববাহিকার ৭১ শতাংশ প্লাবণ ভূমি রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যার পূর্বাভাস দিতে পারলে প্রাণ এবং সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। আর এজন্যই দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল করতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে উন্নততর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অভ্ ওয়াটার মডেলিং রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে DANIDA অর্থায়িত গবেষণা প্রকল্প বাংলাদেশের বর্ধিত বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ পরিষেবার সক্ষমতা উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালায় সচিব এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ৫ দিনের আগাম বন্যা পূর্বাভাস উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নততর প্লাবণ মানচিত্রের সাহায্যে বন্যা শুরু হওয়ার তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা সময় আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠী পর্যায়ে তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন অ্যান্ডার্স কার্লসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার এবং মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা)। উল্লেখ্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল পদ্ধতিটি চালু করতে সহায়তা করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো), এটুআই, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা গুগল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অভ্ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।