বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : এপ্রিল ১, ২০২৩ , ১০:১৪ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ রবিবার ২ এপ্রিল ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশেও ‘১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এবারের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Transformation: Toward a Neuro Inclusive World for All’ অর্থাৎ ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের সমাজ ও পরিবারের অংশ। প্রতিবন্ধী ও এনডিডি (নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিস্যাবিলিটি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। বিধিমালা ও নীতিমালাসমূহ বাস্তবায়নের ফলে প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবার পাশাপাশি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া গ্রহণ করার প্রয়াস চলমান রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে যা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অটিজম ও এনডিডি সেবাকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিগণের জীবনমান আরো উন্নত হবে বলে আমি মনে করি। অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন শিশু ও ব্যক্তিদের সাথে নিয়েই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরো প্রসারিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]