শুধু কর্পোরেট সিন্ডিকেট নয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সাথে লাখ লাখ মানুষ জড়িত

প্রকাশিত : মে ১৮, ২০২৩ , ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, চলতি বছরে পেঁয়াজ চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কেজি-প্রতি উৎপাদন খরচ গতবছর ছিল ২২ টাকা, এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা। রোজা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ঠিক ছিল। পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। সাধারণত পেঁয়াজ উঠে মার্চ-এপ্রিল মাসে। কিন্তু এক মাসের মধ্যে এমন দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। অনেকেই বলেন, কর্পোরেট লোকজন সিন্ডিকেট করছে। কিন্তু এর সাথে জড়িত হাজার হাজার লাখ লাখ লোক। পাবনা-ফরিদপুর অঞ্চলে হাজার হাজার কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি করছে। যখনই খবর পাচ্ছে ভারতে বৃষ্টি হয়েছে, তেমনি দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেমনি ভারত আমদানি বন্ধ করছে, দাম বেড়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানিকারক-রফতানি কারক, সিএ্যান্ডএফ ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান আরও বলেন, হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির এই আচরণ কাম্য নয়। অথচ দাম বৃদ্ধির পরপরই ভারত থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি শুরু করলেই দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। এবিষয়ে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত আসছে। প্রযুক্তির কল্যাণে ফোনে ও এসএমএসে ভারতে বৃষ্টি ও আমদানি বন্ধের খবরে দ্রুত দাম বৃদ্ধি হয়ে যায়।
বিভিন্ন নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্রেতাদেরকেও সর্তক হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, আমরা যদি ইফতারে যদি বেগুনি না খায়, তাহলে আমাদের ইফতারি অস্বচ্ছ হবে না। তিন হাজার টাকার একটি কাপড় নেয় না। কিন্তু সেই পণ্যের গায়ে যখন ১০ হাজার টাকা মূল্য লিখা থাকে, তখন সেটিই ক্রয় করি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কাজ করছি। তবে এর আগে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার মনিটরিংয়ে কাজ করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যালয়ে গতবছর মোট ৯ হাজার অভিযোগ পড়েছিল। কিন্তু চলতি বছর তা বেড়ে প্রায় ৩৩ হাজার হয়েছে। ভোক্তার এতোগুলো অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আরও জনবল প্রয়োজন। সারাদেশে মাত্র ৮৮ জন কর্মকর্তা রয়েছে। যারা হেডকোয়ার্টার, বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছে। মতবিনিময় সভায় সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে নানারকম সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন,জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলামসহ আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টরা।

[wps_visitor_counter]