জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশিত : জুন ৪, ২০২৩ , ৫:০১ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ হতেই গাছ ও বনের উপর মানুষসহ বিশ্বের সকল প্রাণী নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বাস্তুসংস্থান বজায় রাখতে গাছের ভূমিকা অসীম। মানুষ তার মৌলিক চাহিদা পূরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বৃক্ষরাজির উপর নির্ভরশীল। বৃক্ষসমৃদ্ধ বনই মানুষের জীবনের অকৃত্রিম বন্ধু, যা মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রেখেছে। সবুজ-শ্যামল অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত বাংলাদেশে রয়েছে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক বনাঞ্চল-পাহাড়ি বন, শালবন ও বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এছাড়াও এদেশে উপকূলবাসীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে রক্ষা করার জন্য সৃজন করা হয়েছে ‘উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী’। শ্যামল বাংলার এই অপরূপ প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন এবং যত্নশীল হতে হবে। প্রেক্ষিতে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সরকার দেশের বনজ সম্পদের উন্নয়ন, বন সংরক্ষণ ও বৃক্ষাচ্ছাদন বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে বিদ্যমান বন সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশে বন সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিলুপ্ত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে সরকারি বনভূমি ও প্রান্তিকভূমিতে সামাজিক বনায়ন, সরকারি বনভূমিতে সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষিত এলাকায় সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বনভূমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য এসকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অবৈধভাবে বৃক্ষ নিধন প্রতিরোধে কার্যকর অবদান রাখতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।
বৃক্ষরোপণ অভিযানের মতো মহৎ কাজে এ বছর যারা ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন, ২০২২’ ও ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০২১’ পেয়েছেন আমি তাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি আশা করি, তাদের এ অর্জন অন্যদেরকেও বনায়ন ও বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে উৎসাহ যোগাবে। আমি দেশবাসীকে অধিকহারে গাছ লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩’ সফল হোক – এ কামনা করছি।
জয় বংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]