All Menu

হিজরি নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার ৮ জুলাই ‘হিজরি (আরবি) নববর্ষ’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“হিজরি (আরবি) নববর্ষ’ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই-বোনদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
ইসলামের প্রচার ও প্রসারে হিজরি সনের গুরু্ত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করেন। মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ বা ১৫ জুলাইয়ের সূর্যাস্তের সময়কে হিজরি সন শুরুর সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। ১৭ হিজরি সাল (৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ) হতে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের শাসক ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর শাসন আমলে হিজরি সন গণনা শুরু হয়। হিজরি সাল গণনার সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্ব মুসলিমের তাহজিব-তামাদ্দুন। ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান, রোজা, হজ, ঈদ, শবে বরাত, শবে কদর বিভিন্ন ইসলামিক আচার অনুষ্ঠান হিজরি সাল অনুযায়ী পালন করা হয়। মুসলিম ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে হিজরি সন। তাই হিজরি নববর্ষ মুসলিম জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এদেশের সকল ধর্মের মানুষ নিজস্ব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পালন করে আসছে, যা আমাদের সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। সেই ধারাবাহিকতায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী ১৪৪৬ হিজরি নববর্ষ বরণ করা হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা। নতুন হিজরি বছরটি সকলের জন্য মঙ্গল, কল্যাণ এবং শান্তিময় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top